আজ পবিত্র শবে মেরাজ
আজ হিজরি রজব মাসের ২৬ তারিখ। সন্ধ্যা নামলেই শুরু হবে মহিমান্বিত রাত শবে মেরাজ। মহাপুণ্যে ঘেরা এই রাতে প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র কাবাঘর থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে একে একে সপ্তাকাশ পাড়ি দিয়ে সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে আরশে আজিমে মহান আল্লাহতায়ালার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি অবলোকন করেন সৃষ্টি জগতের অপার রহস্য।
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা শবে মেরাজ। ইসলামের ইতিহাসে এমনকি পুরো নবুয়তের ইতিহাসেও এটি এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। কারণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও রাসুল হজরত মোহাম্মদ (স) ছাড়া অন্য কোনো নবী এ পরম সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেননি।
কোরআনে কারিমে আল্লাহ বলেন, ‘পবিত্র সত্তা তিনি, যিনি বান্দাকে তার নিদর্শনগুলো দেখানোর জন্য রাত্রিকালে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত। যার পরিবেশ পবিত্র, নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ১)
ফারসি শব শব্দের অর্থ রাত ও আরবি মেরাজ শব্দের অর্থ ঊর্ধ্বারোহণ বা ঊর্ধ্বগমন। শবে মেরাজ অর্থ ঊর্ধ্বগমনের রাত। এটি ইসলামে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ একটি রাত।
মহিমান্বিত এ রাতে দুনিয়া ও আখেরাতের সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক আল্লাহর হুকুমে আল্লাহর প্রিয় নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) আরশে আজিম পর্যন্ত ঊর্ধ্বালোক গমনের সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন। এ সময় তিনি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দিদার লাভ করেন এবং আল্লাহর কাছ থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে একই রাতে আবার দুনিয়াতে ফিরে আসেন।
এ কারণেই রাতটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। মুসলিম বিশ্ব অলৌকিক ও ঐতিহাসিক এ ঘটনার স্মারক দিবস হিসেবে প্রতি বছর ২৬ রজবের দিবাগত রাতকে শবে মেরাজ হিসেবে পালন করে থাকে। বাংলাদেশেও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ মহিমান্বিত রাত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ আদায়, জিকির-আসকার, দোয়া-দরুদ ও ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে পালন করবেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক
কালের সময় মিডিয়া লিমিটেড
৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০
নিউজঃ news@kalersomoy.news || বিজ্ঞাপণঃ ads@kalersomoy.news
©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || kalersomoy.news